ম্যাচের আগে গ্যালারিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সমর্থকরা। আর্জেন্টিনার সমর্থকদের পুলিশের লাঠিপেঠা থেকে বাঁচাতে গ্যালারিতে ছুটে যান ফুটবলররা, লিওনেল মেসির ইশারায় তারা ফিরে যান ড্রেসিংরুমেও।

এরপর সাদামাটা প্রথমার্ধের পর খেলার রঙ ছড়ায় দ্বিতীয়ার্ধে। আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নেন নিকোলাস ওতামেন্দি। লাল কার্ড দেখেন ব্রাজিলের ওয়েলিংটন। ঘটনাবহুল ম্যাচ শেষ অবধি ওতামেন্দির গোলে মারাকানায় আবারও জয়ের উৎসবে মাতল আর্জেন্টিনা। ব্রাজিল হারে ১-০ গোলে।
খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায়। কিন্তু অপ্রীতিকর পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় আধঘণ্টা পর মাঠে নামেন ফুটবলাররা। ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম গ্লোবো সূত্রে জানা গেছে, ঝামেলার সূত্রপাত আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত বাজার সময় ব্রাজিলের সমর্থকরা দুয়ো দেওয়া থেকে। গ্যালারিতে দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়। গ্যালারির এক অংশে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর পুলিশ মারমুখী হয়ে উঠলে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। পরে তারা টানেলের দিকে চলে যান। অবশ্য ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের মাঠেই অনুশীলন করতে দেখা যায়।

মারাকানা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হওয়ার আগের এই দাঙ্গা মাঠেও পরে প্রভাব রাখে। ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা শুরু থেকে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের ওপর চড়াও হন। ৪৫ মিনিট শেষে কোনও দল গোল পায়নি। তবে ফাউল হয়েছে ২২টি, তার মধ্যে ব্রাজিলই করে ১৬টি!

প্রথমার্ধে ব্রাজিল একমাত্র সুযোগ পায় ৪৪ মিনিটে। এমিলিয়ানো মার্তিনেজ কর্নার কিক পাঞ্চ করলে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির শট ব্লক করেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার।

৬৩ মিনিটে জিওভানি লো সেলসোর কর্নার থেকে দারুণ এক হেডে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণী গোল করেন নিকোলাস ওতামেন্দি। তাতেই নির্ধারিত হয় ব্রাজিলের টানা তৃতীয় হার। আর খেলা গড়ানোর আগে দুই পক্ষের মারামারি, এক লালকার্ড ব্রাজিলের ক্ষতটাই কেবল বাড়িয়েছে।

২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে টানা চার জয়ের পর সবশেষ ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলকে হারিয়ে জয়ে ফেরা লিওনেল স্কালোনির দল ছয় ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থান মজবুত করল আরও।

ব্রাজিলের দুঃসময় বেড়েছে তাতে। টানা তৃতীয় হারের তেতো স্বাদ পাওয়া ফের্নান্দো জিনিসের দল নেমে গেল ষষ্ঠ স্থানে। বলার অপেক্ষা রাখে না, বাছাইয়ের পথচলা রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য কঠিন হয়ে গেল।